নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে ইরান বলেছে, হামলা চলাকালে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো আলোচনায় বসবে না দেশটি।
জেনেভায় ইউরোপীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, হামলার মধ্যেই পারমাণবিক আলোচনায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ইউরোপীয় নেতারা তাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক ইস্যুতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা পুনরায় শুরু করতে আহ্বান জানান।
বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি আরও বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের ‘মানসিকতা দেখানোই এখন মূল বিষয়’।
তিনি বলেন, “অথবা যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের মাথায় অন্য কিছু আছে। তারা যাই হোক না কেন, ইরানকে আক্রমণ করতেই চায়। তাদের হয়তো আগে থেকেই এই পরিকল্পনা ছিল। এখন তারা সম্ভবত কেবল সেই মুখোশ ঢাকতে বিভিন্ন কথাবার্তা ব্যবহার করছে।”
আরাগচি বলেন, ‘আমরা আর জানি না কীভাবে তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) ওপর বিশ্বাস রাখা যায়। তারা যা করেছে, তা আসলে কূটনীতির প্রতি এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা।’
এই ঘোষণার ঘণ্টাখানেক আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে একটি “দীর্ঘমেয়াদি সংঘাত” সামনে অপেক্ষা করছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এয়াল জামির এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আমাদের একটি দীর্ঘমেয়াদি অভিযান পরিচালনার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।” সামনে “কঠিন সময়” আসছে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
শুক্রবার রাতভর সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার ও উৎক্ষেপণ অবকাঠামোর বিরুদ্ধে নতুন করে হামলা চালিয়েছে। এর আগে ইরান ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিব ও বন্দরনগরী হাইফা লক্ষ্য করে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।