রাজধানীর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার ও তার স্ত্রী গাজী রেবেকা রওশনের ব্যাংক একাউন্টসহ অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ এসেছে। এসব সম্পদের মধ্যে ১৩ টি বিও একাউন্টসহ এফডিআর ও সঞ্চয়পত্র রয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের পরিচালক আবুল হাসনাত তাদের সম্পদ ফ্রিজের আবেদন করেন।
দুদকের আবেদন সূত্রে জানা গেছে, মেজর জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এসব অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। ছিদ্দিকুর রহমান ও তার স্ত্রী রেবেকার নামে শেয়ার মার্কেটে ১৩টি বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, এফডিআর ও সঞ্চয়পত্রে তাদের বিপুল পরিমাণ অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদ তারা বিদেশে পাচারের চেষ্টা করছেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। তাই এসব সম্পদ ফ্রিজ করা প্রয়োজন। আদালত দুদকের এ আবেদন মঞ্জুর করেন।
গতবছর ৪ এপ্রিল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান সরকার। দুই বছরের জন্য তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় তৎকালীন সরকার।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সিদ্দিকুর রহমানকে ঐ পদ থেকে সরে যেতে হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুদক।
চাকরি জীবনে মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কমান্ডার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ-এর দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।