বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বাইরে ঘরোয়া সার্কিটের ক্রিকেটারদের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলার সুযোগ ছিল না বললেই চলে। সেই অভাব ঘুচেছিল গত বছরের ডিসেম্বরে মাঠে গড়ানো এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে। সিলেটের দুই মাঠে অনুষ্ঠিত ৮ দলের সেই টুর্নামেন্টে দেখা গেছে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট। সেই ধারাবাহিকতায় আবারও পর্দা উঠতে যাচ্ছে এই ঘরোয়া টুর্নামেন্টের। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আসন্ন সেপ্টেম্বরে শুরু হবে এনসিএল টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় আসর।
যদিও ২০১০ সালে ছোট পরিসরে একবার আয়োজিত হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট, এরপর আর আলোর মুখে দেখেনি। তবে রবিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে গণ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন বিসিবির চিফ কো-অর্ডিনেটর অব প্রোগ্রাম মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। বিসিবির সাবেক এই নির্বাচক জানান, এবার তিনটি ভেন্যু মিলিয়ে হবে এই টুর্নামেন্ট।
নান্নু বলেন, ‘গতবার খুব অল্প সময়ের মধ্যে করা হয়েছিল। এবার তিনটা ভেন্যু পছন্দ করা হয়েছে। গ্রাউন্ডস কমিটির কাছে টুর্নামেন্ট কমিটি ৩টা ভেন্যু চেয়েছে। সে হিসেবে টুর্নামেন্ট কমিটি এগোচ্ছে। এটা নিশ্চিত তিনটি ভেন্যুতেই হবে টুর্নামেন্ট।’
টুর্নামেন্ট শুরুর দিনক্ষণ এখনো নিশ্চিত করেননি নান্নু। তবে তিনি জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হবে এনসিএল টি-টোয়েন্টি। যদিও বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ৪ অক্টোবর শেষ হতে পারে এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট।
বিপিএলের বাইরে আরো একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আকুতি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবসময়ই ছিল। এবারের ঘরোয়া ক্রিকেটের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের সূচিতে ক্রিকেটারদের সেই চাওয়া পূরণ হচ্ছে আবারও। এই সময়ে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ব্যস্ত থাকবেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপে। কাজেই কেবল স্থানীয় ক্রিকেটারদেরই দেখা যাবে এই টুর্নামেন্টে। বিপিএলের আগামী আসরের ড্রাফটের আগে এই টুর্নামেন্টে পারফর্ম করতে পারলে ঘরোয়া সার্কিটের ক্রিকেটারদেরও দল পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। কারণ বেশিরভাগ ক্রিকেটারের রুটি-রুজিই নির্ভর করে ঘরোয়া মৌসুমের ওপর।