তরুণরা সর্বদা আন্দোলনের অগ্রভাগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, তবে কৃষক ও সাধারণ মানুষও তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘জনগণ দানব বা রাক্ষস নয়, তারা গণতন্ত্র চায়। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই যেখানে সুশাসন, মানবাধিকার এবং মৌলিক চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করা হবে।’
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘তারেক রহমানের রাজনীতি: গণঅভ্যুত্থানের উৎকর্ষ’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তরুণরা একা বাংলাদেশ গড়তে পারবে, এটা ভাবা গুরুতর ভুল হবে। শুধু ঢাকা শহর বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর দ্বারা নয়, বরং গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ, রিকশাচালক এবং অন্যান্য সাধারণ নাগরিকদের অংশগ্রহণে দেশ গড়ে উঠেছে। জাতি গঠনের প্রক্রিয়ায় তাদের চিন্তাভাবনা, আকাঙ্ক্ষা এবং গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তির তৃষ্ণা উপেক্ষা করা যাবে না।’
সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ঢাকার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে এগুলো করা যাবে না। অথবা এটি বৈদ্যুতিক আলো জ্বালানো-নেভানোর মতো নয়, বরং এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকারের কাছ থেকে আমরা যা আশা করেছিলাম, তা পূরণ হয়নি। তবে, দেরিতে হলেও, তারা এখন নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছে।’
বইটির লেখক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা লিয়াকত আলী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক জামাল উদ্দিন রুনু অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।