সিলেটের কলেজ ছাত্র আরিফ আহমেদ হত্যার বিচার দাবিতে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার মা আঁখি বেগম।
দুই বছর ধরে চলা তদন্তে কার্যত অগ্রগতি নেই জানিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশের শিথিল আচরণে আসামিরা একের পর এক দেশের বাইরে পালিয়ে যাচ্ছে।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আঁখি বেগম বলেন, ‘২০ মাস পার হলেও, এই হত্যা মামলার অভিযোগপত্রই দেওয়া হয়নি। এরমধ্যে প্রধান আসামি ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা হিরন মাহমুদ নিপু লন্ডনে পালিয়ে গেছেন। আরেক আসামি মামুন মজুমদার রাব্বিও কাতার পালিয়ে গেছেন।’
আসামিদের দেশত্যাগ নিয়ে অভিযোগ করে প্রতিকার মিলছে না বলে জানান তিনি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের জন্য আঁখি বেগম প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পরিবার সদস্যরা জানান, ছাত্রলীগের কর্মী হলেও আরিফ সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে যুবলীগ নেতা হিরন মাহমুদ নিপুর পক্ষে কাজ করেননি। এর প্রতিশোধ নিতে ২০২৩ সালের ১৫মে আরিফের আঙ্গুল কেটে নেয় সন্ত্রাসীরা। পরে আরিফ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে ২০ মে নিপুর নামে থানায় অভিযোগ দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নিপুর নেতৃত্বে তার বাহিনীর সদস্যরা সেই রাতেই নগরের বালুচর টিবিগেট এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে আরিফকে।
আঁখি বেগম বলেন, ‘সেই রাতেই সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করা হয়। মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাত ঘুরে এখন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে পড়ে আছে। হত্যাকাণ্ডের ২০ মাস পরেও অভিযোগপত্র দাখিল করেনি পুলিশ। জনতার চাপে পুলিশ একবার প্রধান আসামি হিরন মাহমুদ নিপুকে গ্রেপ্তার করেছিল। গত ৫ আগস্টের পর যুবলীগ নেতা নিপু নিজেকে বিএনপি কর্মী পরিচয় দিয়ে জেল থেকে বের হয়ে আসেন। এরপর দেশ থেকে পালিয়ে লন্ডন চলে যান।’
এর আগে আরেক আসামি মামুন মজুমদার রাব্বি কাতার পালিয়ে গেছেন।
সিলেট সরকারি কলেজের ছাত্র আরিফ আহমেদ (১৯) হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের দাবি জানান স্বজনরা।