কেন্দ্রীয় কমিটি বাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সারাদেশের সব কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকাসহ সারাদেশ সংগঠনটির নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রোববার রাজধানীর শাহবাগ জাদুঘরের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিফাত রশিদ।
তিনি বলেন, ‘অর্গানোগ্রামের (সাংগঠনিক কাঠামো) সিদ্ধান্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারাদেশের সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। বৈষম্যবিরোধী ব্যানারকে কলুষিত করার জন্য পরাজিত শক্তিরা নানাভাবে এ প্লাটফর্ম ব্যবহার করছে।’
যারা অনৈতিক কাজ করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে, রাজধানীর গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা হয়। হাতেনাতে ধরা পড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচ নেতাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে কথিত সমন্বয়ক রিয়াদসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববারই রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
গুলশান থানার ডিউটি অফিসার আঞ্জুমান আরা জানান, শনিবার রাতে হাতেনাতে আটক করা পাঁচজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। ভিকটিম সিদ্দিক আবু জাফর নিজে বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন ও সাদাব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ সংগঠক ও কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সেলের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ এবং আমিনুল ইসলাম।
রোববার বিকালে আসামিদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ, মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও ইব্রাহিম হোসেন মুন্নাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত শুনানিশেষে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।