বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা এটিকে জবাবদিহির পথে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সমাজ স্বচ্ছতা, সততা ও ন্যায়বিচারের প্রতিফলন দেখতে পেরে সন্তুষ্ট।’

‘এর একটি স্থায়ী সমাধান দেখার বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাসের’ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে সায়মা ওয়াজেদকে তার পদ থেকে অপসারণ, সংশ্লিষ্ট সকল সুবিধা বাতিল এবং এ মর্যাদাসম্পন্ন পদে নৈতিকতা ও জাতিসংঘ ব্যবস্থার সামগ্রিক বিশ্বাসযোগ্যতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।’
এদিকে, বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে
‘সায়মা ওয়াজেদের অনির্দিষ্টকালের ছুটি’ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যনীতি বিষয়ক সংস্থা হেলথ পলিসি ওয়াচ-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ ২০২৩ সালে ডব্লিউএইচও-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তবে শুরু থেকেই তার নিয়োগ নিয়ে ছিল বিতর্ক। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েই ওই পদ লাভ করেন তিনি।
মাস চারেক আগে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে পুতুলের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের করে দুদক। অভিযোগ, ডব্লিউএইচও-এর পদে নিয়োগ পাওয়ার প্রচার-প্রচারণার সময় শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করেন সায়মা, যা বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারার লঙ্ঘন।
এ বছরের জানুয়ারিতে ওই অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুদক।