সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর এবং অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে ছাত্রদল।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, মধুর ক্যানটিন ও কলাভবন ঘুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়।
এরপর ভিসি চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা বক্তব্য দেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘নয় মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়েছে।’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো কোনো স্পষ্ট বিবৃতি দেয়নি।’ তিনি বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকাকে মাদকের আখড়ায় পরিণত হতে দেওয়া হয়েছে, প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই।’
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আগেও পারভেজ নামে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এখন শাহরিয়ার। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। তিনি উপাচার্য, প্রক্টর এবং অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন।’
ঢাবি শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘সহনশীলতার সীমা শেষ হয়ে আসছে। দ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ না এলে ছাত্রসমাজ সরাসরি অন্তর্বর্তী সরকারের দিকেও প্রশ্ন তুলবে।’
দুপুরে কেন্দ্রীয় মসজিদে শাহরিয়ারের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নিহত শাহরিয়ার মাস্টার্সের ছাত্র ও স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন।
মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার নিহত হন। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।