যাত্রাবাড়ী থানায় করা আবদুল কাইয়ুম হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ আদেশ দেয়।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (অপারেশনস) খালেদ হাসান বিচারের পূর্ব পর্যন্ত খায়রুল হককে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর তাকে (খায়রুল হক) আদালতে আনা হয়।

পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, খায়রুল হককে আদালতে হাজির করে যাত্রাবাড়ী থানায় করা আবদুল কাইয়ুম হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। রাতে এ আবেদনের বিষয় শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে এদিন সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার একটি বাসা থেকে খায়রুল হককে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। পরে তাকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। খায়রুল হকের বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও নারায়ণগঞ্জে মোট তিনটি মামলা রয়েছে।
এ বি এম খায়রুল হক ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয়। ওই রায়ের মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়।
সাবেক এ প্রধান বিচারপতি ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ মেয়াদ শেষে কয়েক দফা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট তিনি কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
খায়রুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় জালজালিয়াতি করে রায় দেওয়া এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আরও দুটি মামলা রয়েছে।
২০২৪ সালের ২৫ আগস্ট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী ভূঁইয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন।