সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ স্থগিত

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
Highlights
  • বিবৃতিতে সাফ জানিয়েছে, হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে সাফ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী চলছিল প্রস্তুতি। সাফের সদস্য দেশগুলো এবং মার্কেটিং পার্টনার স্পোর্টস ফাইভ মনে করে এই পদ্ধতির জন্য আরও প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। তাই সাফ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত টুর্নামেন্ট স্থগিত করার।

সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছর জুনে। টুর্নামেন্টটির আয়োজন নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও চলছিল প্রস্তুতি। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার আকস্মিক এক বিবৃতিতে দক্ষিণ এশিয়া ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি ২০২৬ সাল পর্যন্ত ফুটবলের আসর স্থগিত করার কথা জানিয়েছে ।

সবশেষ ২০২৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বসেছিল ভারতের বেঙ্গালুরুতে। রীতি অনুযায়ী দুই বছর বিরতি দিয়ে এ বছর ফের হওয়ার কথা ছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ।

বিবৃতিতে সাফ জানিয়েছে, হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে সাফ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী চলছিল প্রস্তুতি। সাফের সদস্য দেশগুলো এবং মার্কেটিং পার্টনার স্পোর্টস ফাইভ মনে করে এই পদ্ধতির জন্য আরও প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। তাই সাফ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত টুর্নামেন্ট স্থগিত করার।

২০২৬ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হবে। ফুটবল বিশ্বকাপের বছরে সাফ আয়োজন করা আদৌ সম্ভব কি না সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। যদিও সাফের ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে, বিশ্বকাপের আমেজে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা আয়োজন করতে চায় তারা।

আবার সাফের বিজ্ঞপ্তিতে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ের কথা বলা হলেও জুনে কেন্দ্রীয় ভেন্যু শ্রীলঙ্কায় সাফ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আগের মতো কেন্দ্রীয় ভেন্যুতে করে এরপর হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে-তে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এ বছরের শুরু থেকেই ভেন্যু ও স্পন্সরশিপ জটিলতায় টুর্নামেন্টটির আয়োজন নিয়ে কিছুটা শঙ্কা ছিল, তবে আয়োজনের পথেই ছিল প্রস্তুতি।

দক্ষিণ এশিয়া ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিজেদের ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিলেও সদস্য দেশগুলোকে এখনো আসর স্থগিতের তথ্য জানায়নি।

বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গণমাধ্যমে দেখেছি ও সাফের ওয়েবসাইটে দেখেছি। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সাফ থেকে কিছু জানি না। আমাদের পরিকল্পনা ছিল জুনে সাফে খেলব।’

সাফ ফুটবলে এ পর্যন্ত ১৪টি আসর মাঠে গড়িয়েছে। ভারত সর্বোচ্চ ৯ বার শিরোপা জিতেছে। মালদ্বীপ ২ বার, আর বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *