শ্রীলংকা সফরের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করতে ওয়ানডের মতো কোনো সংবাদ সম্মেলেনের আয়োজন করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষিত সেই দলে সর্বশেষ নামটা বেশ চমকে দেয়ার মতো। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। যিনি প্রায় ১৪ মাস আগে খেলেছিলেন জাতীয় দলের হয়ে। এরপর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাকে দেখা যায়নি। চোট, পারিবারিক ইস্যু, মানসিক অবসাদ মিলিয়ে বেশ কঠিন সময়ই পার করেছেন এই অলরাউন্ডার। তবে শ্রীলংকার সফরের সাদা বলের সিরিজের জন্য অনুশীলন,প্রস্তুতিতে আরো একবার নির্বাচকদের মন জিতেছেন, সব পেছনে ফেলে আরো একবার ঢুকেছেন জাতীয় দলে। তাই এবার দলের নিজের জায়গা পাকা করার চ্যালেঞ্জটাই নিচ্ছেন তিনি।
২০২৪ সালের বিপিএলে ৯ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজে সুযোগ পান সাইফউদ্দিন। ৮ উইকেট নিয়েও অবশ্য বিশ্বকাপ দলের জায়গা হয়নি তার। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ লিপুও তখন বলেছিলেন, সেই সিরিজে তার শক্তির অন্যতম জায়গা, স্পিড ভেরিয়েশন কিংবা ইয়র্কার খুব একটা দেখেননি বলে, সাইফকে তারা বিশ্বকাপ দলে নেননি। তবে আবার নির্বাচক প্যানেলের ভরসা জিতলেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
সোমবার নাসুম আহমেদ ও শেখ মাহেদী হাসানের সাথে শ্রীলংকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন সাইফউদ্দিন। দলে ফেরা নিয়ে বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রথমত জার্নিটা অনেক লম্বা ছিল, আপনারা জানেন ১৩ মাস পর আবার জাতীয় দলের লাল সবুজ জার্সিতে নামার সুযোগ পেয়েছি। সুযোগ পাওয়ার চেয়ে জায়গাটা ধরে রাখা অনেক কঠিন, জায়গা ধরে রাখার লক্ষ্যই থাকবে।’
মিরপুর ও চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টি দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত হয়ে বেশ কিছু প্রস্তুতি ম্যাচের। সেখানে পারফর্ম করেই নির্বাচকদের নজর কাড়েন সাইফউদ্দিন। প্রস্তুতি ক্যাম্প ও ম্যাচগুলোতে নিজের সেরাটা নিংড়ে দিয়েছেন বলেই তার বিশ্বাস, ‘কয়েকটা ক্যাম্প করেছি মিরপুরে ও চট্টগ্রামে। চেষ্টা করেছি নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার, ভালো করার। প্রত্যেকটা সুযোগ প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের কাজে আসে। চট্টগ্রামে প্রস্তুতি ম্যাচে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা ছিল। কতটা হয়েছে জানি না। প্রধান নির্বাচক আমার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন।’
দীর্ঘ এই সময়ে বোলিংয়ে নতুন কিছু যুক্ত হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে সাইফউদ্দিন বলেন, ‘ শ্রীলঙ্কায় যদি সুযোগ পাই দেখবেন। আমার আগের যেগুলো ছিলো স্যুইং, গতি বৈচিত্র্য, ইয়র্কার, লাইন-লেন্থ- এসব নিয়ে কাজ করেছি। ক্যাম্পে নাজমুল (ইসলাম) ভাই ছিল, উনার সঙ্গে কথা বলেছি। সব মিলিয়ে চেষ্টা করেছি।’
আগামী ১০ জুলাই পাল্লেকেলেতে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দ্বিতীয় ম্যাচ ১৩ জুলাই, ভেন্যু ডাম্বুলা। ১৭ জুলাই কলম্বোতে তৃতীয় ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে বাংলাদেশের শ্রীলংকা সফর।