আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে দুই উপদেষ্টার বৈঠক। বৃহস্পতিবার আবারও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তারা।
সন্ধ্যায় ঢাকায় আন্দোলনরত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সন্ধ্যা সোয়া ৭টার পর রেলভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। এতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১১ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
রেল ভবনে যখন শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা বৈঠক করছিলেন তখনও নিজেদের পক্ষে ফলাফল না আসা পর্যন্ত সড়ক ছাড়বেন না বলে ঘোষণা দেন শাহবাগ মোড়ে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা।
এক ঘণ্টারও বেশি সময় চলে এই বৈঠক, যা থেকে আসেনি কোনো সমাধান।
ফাওজুল কবির জানান, সমস্যা সমাধানে সাত সদস্যের যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল তাদের পাঁচজনই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।
আগামীকাল পুরো কমিটি আবারও বৈঠকে বসবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বৈঠক হবে অংশীজন শিক্ষক এবং অন্য প্রকৌশলীদের সঙ্গে।’
শিক্ষার্থীদের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রাকে অনভিপ্রেত মন্তব্য করে ফাওজুল কবির বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ব্যাপারে ক্ষমা চাইবে পুলিশের প্রতিনিধি।’
বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিধিরা জানান, আলোচনার বিষয়বস্তু আন্দোলনরত সহপাঠীদের কাছে তুলে ধরবেন তারা। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে বিকাল ৫টায় রাজধানীর শাহবাগে চলমান কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার অভিযোগ এনে পাঁচ দফা দাবিতে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবিগুলো হলো, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে শিক্ষার্থীদের সামনে এসে হামলার জন্য ক্ষমা চাইতে এবং জবাবদিহি করতে হবে। এছাড়া, পূর্বে ঘোষিত কমিটি বাতিল করে শিক্ষক প্রতিনিধি ও আন্দোলনের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠন, আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া এবং আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রোকন নামে এক শিক্ষার্থীর ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও চাকরিচ্যুত করা এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার দায়ে ডিসি মাসুদকে অপসারণ করা।