অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান, নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত মুহাম্মদ ইউনূসের এক বছর শাসন আমলে ‘বিশ্ব শান্তিসূচকে (জিপিআই) বাংলাদেশ ৩৩ ধাপ নেমে গেছে’ সংক্রান্ত ‘মিথ্যা প্রচারণার’ প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রেস উইং বলছে, সমাজ মাধ্যমসহ আওয়ামী সমর্থিত বিভিন্ন সাইটে ওই ‘মিথ্যা প্রচারণা’ ছড়ানো হচ্ছে।
এই প্রচারণায় আরও দাবি করা হয়েছে, ‘শত শত পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মী পরিকল্পিত হামলায় নিহত হয়েছে এবং সরকার এসব ঘটনায় দায়মুক্তি দিয়েছে’– যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।
তারা জানিয়েছে,’অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর ইকনমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি) প্রকাশিত ২০২৫ সালের গ্লোবাল পিস ইনডেক্স রিপোর্টে বাংলাদেশ ১২৩তম স্থানে নেমে গেছে—যা পূর্বের তুলনায় ৩৩ ধাপ নিচে। কিন্তু রিপোর্টটি ২০২৪ সালের ঘটনার ভিত্তিতে তৈরি, ইউনূস সরকারের আমলের তথ্য এতে নেই।’
প্রেস উইং আরও জানিয়েছে, ‘রিপোর্টের এক্সিকিউটিভ সামারিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের এই পতনের জন্য মূলত হাসিনা সরকারের দমনমূলক নীতিই দায়ী। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বড় অবনতি ঘটেছে, যা “হাসিনা সরকারের দমনমূলক শাসনের ফল।”
এতে বলা হয়, ‘২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের অধীনে এক নজিরবিহীন সহিংসতা চলে। জাতিসংঘের মতে, ওই দমন-পীড়নে অন্তত ১৪শ’ মানুষ নিহত হন। সামরিক হেলিকপ্টার দিয়ে ছাত্রদের ওপর গুলি চালানো হয়, ঘরে থাকা শিশুরাও নিরাপদ ছিল না। এই “গণহত্যা ও জনরোষের মুখে” হাসিনা দেশত্যাগে বাধ্য হন।’
‘এই রক্তাক্ত প্রেক্ষাপটই বাংলাদেশের শান্তিসূচকে অবনতির প্রকৃত কারণ,’ উল্লেখ করেছে প্রেস উইং।