যদি ৫০ দিনের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের কোনো সমাধান না হয়, তাহলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর শুল্ক আরোপ করবেন বলে হঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি তার বাড়তে থাকা হতাশার সর্বশেষ উদাহরণ।
তিনি বলেন, ‘৫০ দিনের মধ্যে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি না হলে রাশিয়ার ওপর ১০০ শতাংশ সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করা হবে।’ সোমবার ওভাল অফিসে ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে এক বৈঠকে এই ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পে আরও বলেন, ‘এটি হবে সেকেন্ডারি ট্যারিফ, অর্থাৎ রাশিয়ার বাণিজ্যিক অংশীদারদের লক্ষ্য করেই শুল্ক আরোপ করা হবে, যাতে মস্কোকে বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায়।’
‘আমি অনেক কিছুর জন্য বাণিজ্য ব্যবহার করি। কিন্তু যুদ্ধ থামানোর জন্য এটি দারুণ,’ যোগ করেন তিনি।
শুল্কের হুমকির পাশাপাশি, ট্রাম্প ও রুটে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের সরবরাহ চ্যানেল পুনর্জীবিত করার পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেন। ইউরোপীয় মিত্ররা সামরিক সরঞ্জাম কিনে সেগুলো ইউক্রেনকে হস্তান্তর করবে। ট্রাম্প বলেন, ‘এতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে।’
রুটে জানান, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, কানাডা, নরওয়ে, সুইডেন, যুক্তরাজ্য এবং ডেনমার্ক ইউক্রেনকে সরবরাহের জন্য এই ক্রয়কারীদের মধ্যে থাকবে।
তিনি বলেন, ‘এখানে সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং এই সরবরাহ পুতিনকে শান্তি আলোচনার কথা ভাবতে বাধ্য করবে।’
ট্রাম্প বরাবরই পুতিনের সঙ্গে নিজের ‘ভাল সম্পর্ক’ নিয়ে গর্ব করতেন এবং জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর একাধিকবার বলেন, ইউক্রেনের চেয়ে রাশিয়া শান্তিচুক্তিতে বেশি আগ্রহী। একইসঙ্গে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘নির্বাচনবিহীন স্বৈরশাসক’ বলে অভিযুক্ত করেন।
তবে ইউক্রেনে বেসামরিক এলাকায় রাশিয়ার লাগাতার হামলা ট্রাম্পের ধৈর্যচ্যুতি ঘটায়। এপ্রিল মাসে তিনি পুতিনকে ‘থামো!’ বলে আহ্বান জানান এবং মে মাসে এক সামাজিক মাধ্যমে পোস্টে বলেন, ‘পুতিন পুরোপুরি পাগল হয়ে গেছে! কারণ হামলা চলছেই।’
এদিকে, ইউক্রেন ও রাশিয়া নিয়ে ট্রাম্পের বিশেষ দূত অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কেলগ সোমবার কিয়েভে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
জেলেনস্কি বলেন, তিনি কেলগের সঙ্গে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার, যৌথ অস্ত্র উৎপাদন ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে অস্ত্র কেনা নিয়ে ‘গঠনমূলক আলোচনা’ করেছেন।