রাশিয়ার ভেতরে একটি নজিরবিহীন ড্রোন হামলায় অন্তত ৪১টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা (এসবিইউ)।
সামরিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, হামলাটি এক বছর ছয় মাস ধরে পরিকল্পনা করা হয়। সরাসরি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওই হামলা তত্ত্বাবধান করেন।
রোববার সন্ধ্যায় দেওয়া বক্তব্যে জেলেনস্কি জানান, হামলায় ১১৭টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়। তার দাবি, এই অভিযান রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবির কার্যালয়ের পাশে একটি ভবন থেকে পরিচালিত হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ড্রোনগুলো কনটেইনার থেকে উৎক্ষেপণ হচ্ছে এবং কিছু মানুষ সেগুলো থামানোর চেষ্টা করছে। ইউক্রেন জানায়, এ-৫০, টু-৯৫ ও টু-২২এম মডেলের যুদ্ধবিমান লক্ষ্যবস্তু ছিল, যেগুলো রাশিয়া ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ব্যবহার করে।
এসবিইউ এই অভিযানের নাম দেয় ‘ওয়েব’, যা রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রবাহী বিমান বহরের ৩৪ শতাংশ ধ্বংস করেছে বলে দাবি করা হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার। অবশ্য কিয়েভের এই তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হামলার সত্যতা স্বীকার করেছে। তারা জানায়, ইরকুৎস্ক ও মুরমানস্ক অঞ্চলের বিমানঘাঁটিতে আগুন লেগেছে ও বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিন রাশিয়া ইউক্রেনে ৪৭২টি ড্রোন ও ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলায় ১২ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত ও ৬০ জন আহত হয়। এর মধ্যেই সোমবার ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনায় বসছে দুই দেশ।