রথযাত্রার দিন সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। কিন্তু কেন? কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, ঢাকা মহানগরীর এই রথযাত্রা একটি বড় শোভাযাত্রা। শুক্রবার বিকালে জনসমাগম বেশি হওয়ায় সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।
‘রথযাত্রা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরাপদে উদযাপনের লক্ষে ডিএমপির পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
সোমবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলনকক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন রথযাত্রা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এক সমন্বয় সভায় ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
সভায় ২৭ জুন রথযাত্রা ও ৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রা উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপ ও নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। রথযাত্রায় পিকেট পার্টি, টহল পার্টি, সিসিটিভি ক্যামেরা, ফুট পেট্রোল, রুফটপ পার্টি, হোন্ডা মোবাইল, ডিবি টিম, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা টিম, সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল টিম ও ট্রাফিক পুলিশসহ পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে সভায় অবহিত করা হয়।
রথযাত্রা নির্ধারিত রুটে ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ ছাড়া নামাজ ও আজানের সময় লাউড স্পিকার/মাইক বাজানো থেকে বিরত থাকা, নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, ব্যাগ-পোঁটলাসহ রথযাত্রায় অংশগ্রহণ না করা, সন্দেহজনক ব্যক্তি বা বস্তু দেখলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করা হয়।
নির্দিষ্ট সময়ে রথযাত্রা শুরু ও শেষ করতে রথযাত্রা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা সব ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। আমি আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই আয়োজনটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হবো।’
সমন্বয় সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
এছাড়া, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং রথযাত্রা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ মতামত প্রদান করেন।