সর্বশেষ মৌসুমের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) শিরোপা জিতেছে আবাহনী। নেতৃত্বে ছিলেন আবাহনীর ঘরের ছেলে হয়ে ওঠা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্সে হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটারও। কিন্তু তবুও তার জায়গা হয়নি সোমবার সকালে ঘোষিত বাংলাদেশের আসন্ন শ্রীলংকা সফরের ১৬ সদস্যের ওয়ানডে দলে। তাই প্রশ্ন উঠেছে, ডিপিএলের মতো লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্টে পারফর্ম করার পরেও কেন মোসাদ্দেককে ডাকেননি নির্বাচকরা। প্রধান নির্বাচক লিপু সরাসরিই বললেন, যতদিন মেহেদী হাসান মিরাজ দলে আছেন, ততদিন মোসাদ্দেকের কোনো সুযোগ নেই।
মিরাজ-মোসাদ্দেক দুজনের প্লেইং রোলই এক, দুজনই ব্যাটিং অলরাউন্ডার। অবশ্য মিরাজ ধীরে ধীরে পুরো অলরাউন্ডারই হয়ে উঠেছেন। বিশেষত ওয়ানডে আর টেস্টে তার যে ভূমিকা আর অবদান; সেটা আমলে নিলে মিরাজকে সরিয়ে দলে আসা অন্য কারো পক্ষে কঠিন। এর সাথে একই প্লেইং রোলের ব্যাপারটা একপাশে সরিয়ে রাখলেও মিরাজকে আলাদা করেছে কদিন আগে পাওয়া ওয়ানডে অধিনায়কত্ব। নাজমুল হোসেন শান্তকে সরিয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাকে।
এদিকে মোসাদ্দেকের ডিপিএলের পারফরম্যান্সও একেবারেই এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয়। ৩০ উইকেট নিয়ে হয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী, তিন ফিফটিতে ৪৮.৪৭ গড়ে করেছেন ৪৮৭ রান। আবাহনীর শিরোপা জয়ে এমন পারফরম্যান্সের পরেও কেন তাকে ডাকা হয়নি, এই প্রশ্নের জবাবে লিপু বলেন, আপনার কথার সরাসরি উত্তর দিতে চাই। আপনি সাংবাদিকতার আলোকে মনে করছেন, এই মুহুর্তে জাতীয় দলে খেলা উচিত। আমি ঠিক সেই জিনিসটা মনে করছি না, পরিস্কারভাবে বলতে চাচ্ছি। যতদিন মেহেদী হাসান মিরাজ আছেন, মোসাদ্দেকের কোনো সুযোগ নেই।’
যদিও মোসাদ্দেকের জাতীয় দলের ফেরার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না প্রধান নির্বাচক। বরং মনে করিয়ে দিলেন ‘এ’ দলের সাথে তাকে নিয়মিত রাখার কথাও, ‘কিছু জিনিস খুব স্পষ্টভাবে বোঝা উচিত। আপনারাও অনেক সময় অনেক কিছু বুঝেও না বোঝার ভান করেন। এখানে আমি পরিস্কার করেই বলছি, মোসাদ্দেক আমাদের সাথে থাকবেন। হয়তো ব্যাক আপ হিসেব আছেন। যেকোনো সময় সুযোগ পেলে চলে আসতেই পারেন দলে। সেটার জন্য দরজা খোলাই আছে।তাকে প্রমান করতে হবে নিজেকে । আমরা কিন্তু নিউজিল্যান্ডের সাথে খেলিয়েছি, দেখছি তাকে।’
এর আগে জাতীয় দলে মোসাদ্দেকের ভবিষ্যত নিয়ে আশার কথাই শুনিয়েছেন প্রধান নির্বাচক লিপু। তিনি বলেন, ‘মোসাদ্দেকের ব্যাপারটা আপনারা জানেন, তিনি আমাদের সাথে আছেন। গত বছর আগস্টে পাকিস্তানে ‘এ’ দলের সফরেও ছিলেন। হয়তো অনুশিলনের ঘাটতি ছিল।, তবে এই বছর বেশ এক্টিভলি পার্টিসিপেট করছেন। আমাদের বড় ক্যানভাসে তিনি আছেন, হয়তো সামনের সারিতে না। কিন্তু যখন দরকার হয়, তখন যেন তিনি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেন।’