বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার ঠিক আগের বলটাতেই রান আউট হলেন মুশফিকুর রহিম। প্রবাথ জয়সূরিয়ার ফুল লেংথ বল মিড অনে ঠেলেই পড়িমরি করে সিংগেলের জন্য ছুটলেন ২৮-তম টেস্ট ফিফটির দোরগোড়ায় থাকা এই ডানহাতি ব্যাটার। নন স্ট্রাইকিং এন্ডে ব্যাট প্লেস করার আগেই মিড অন থেকে থারিন্দু রথনায়েকের থ্রো এসে ভেঙে দিল উইকেট। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল অল্পের জন্য রান আউট মুশফিক। মুশফিক মাঠ ছাড়ার সাথেসাথে গলের আকাশ ভেঙে বৃষ্টিও নামল। তখন থেকেই খেলা বন্ধ। ৪ উইকেটে ২৩৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ, লিড দাঁড়িয়েছে ২৪৭।
রান আউট হওয়ার আগে শান্তর সাথে ১০৯ রানের জুটি গড়েছিলেন মুশফিক। প্রথম ইনিংসের দুই সেঞ্চুরিয়ান এই ইনিংসেও হাল ধরেছেন দলের। মুশফিক ফিরলেও ৮৯ রানে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক শান্ত। এই ইনিংসে সেঞ্চুরি করলে, একই ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি করা ১৬-তম অধিনায়ক হবেন তিনি। অবশ্য শান্তর সেঞ্চুরি কিংবা বাংলাদেশের আরো বড় লিড; এই দুই জিনিসকেই অপেক্ষায় রেখেছে গলের বৃষ্টি।
লাঞ্চ ব্রেকের ৪০ মিনিট আগে বৃষ্টি নামলেও ওভার কাটা হয়নি। বৃষ্টি কমে আসায় বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় খেলা আবার শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও আবার বাগড়া দিয়ে বসে বৃষ্টি। মুষলধারার এই বৃষ্টিতে দ্বিতীয় সেশনের খেলা যত দেরিতে শুরু হবে, ম্যাচের ফলাফল ড্র’তে নিষ্পত্তি হওয়ার সম্ভাবনা ততই বাড়বে।
গল থেকে পাওয়া শেষ খবর, তিন মিনিটের মধ্যে বৃষ্টি থেমে আবার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ২২ মিনিটে বৃষ্টি থামার পর গ্রাউন্ডসম্যানরা মাঠের কভার সরাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কাজও থামাতে হয়, বৃষ্টি আবার চলে আসায়। দিনের খেলার আরো ৭৫ ওভার বাকি, বৃষ্টি যখনই থামুক মাঠ তৈরি হতে হতে সময় লাগবে কমপক্ষে এক ঘণ্টা।
প্রথম ইনিংসে শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের করা ৪৯৫ রানের জবাবে ৪৮৫ রানে অল আউট হয় শ্রীলংকা, নাঈম হাসান সেই ইনিংসে নেন পাঁচ উইকেট। তৃতীয় দিন সাদমান ইসলামের ৭৬ রানের ভর করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান শান্ত-মুশফিক জুটি।