কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার উপজেলার বাঙ্গুরা বাজার এলাকার কড়াইবাড়ি গ্রামে মা’সহ দুই সন্তানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহতরা হলেন, কড়াইবাড়ি গ্রামের রুবি বেগম (৫৮), তার ছেলে রাসেল (৩৫) ও মেয়ে জোনাকি আক্তার (২৭)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত তিন থেকে চার দিন আগে একটি মোবাইল চুরির ঘটনা নিয়ে রুবি আক্তারের পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় বেশ কয়েকজনের ঝগড়া হয়। সে সময় রুবি ও তার ছেলে বেশ কয়েকজনকে মারধর করেন। এ ঘটনার সূত্র ধরেই করইবাড়ি গ্রামের বেশ কিছু লোক একত্রিত হয়ে রুবির বাড়িতে হামলা করে।
কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন ওই পরিবারের চার জনকে পিটুনি দেয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই রুবি,তার মেয়ে জোনাকি ও ছেলে রাসেল নিহত হয়। রুবির অপর মেয়ে রুমাকে পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাঙ্গুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন,’ অভিযোগ আছে এই তিনজন দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত। তাদের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়নি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে।’
কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ‘নিহতদের বিরুদ্ধে মাদক ও নানান অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে। তবে এ ঘটনায় যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত তিনজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।