মিয়ানমারের ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। পাশের দেশ থাইল্যান্ডেও সাত জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পের হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১০০২ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। দেশটির সাগাইং, মান্দালয়, মাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিডো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জান্তা সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে।
আবারও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হতে পারে, এই আশঙ্কায় মিয়ানমারে অনেক মানুষ রাতে খোলা আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছে। জনজীবনে আতঙ্ক কাটেনি। নানা সঙ্কটে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে উদ্ধারকারীরা।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় হাজারের বেশি। নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং এই দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে।
মিয়ানমারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর মান্দালয়ের বাসিন্দারা জানান, সেখানে অনেক ভবন এই ভূমিকম্পে মাটিতে মিশে গেছে। অধিকাংশ ভবন ধসে পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা খালি হাতে ধ্বংসস্তুপে অনুসন্ধান কাজ চালাচ্ছেন। আরও বড় ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে, এ নিয়ে তারা সবাই চিন্তিত।অনেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতালেই চিকিৎসা দিতে হচ্ছে বেশিরভাগ আহতদের।
দেশটির সাগাইং, মান্দালয়, মাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিডো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। দেশটির দুই বড় শহর, মান্দালয় ও ইয়াংগুনের বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে, মিয়ানমারে হওয়া ওই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে থাইল্যান্ড, চীনসহ আশপাশের দেশগুলোতেও। বিশেষ করে থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পের কারণে একটি বহুতল ভবন ধসে সাতজন নিহত হয়েছে। ব্যাংককের ধসে পড়া ওই ভবনে এখনও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংককে প্রায় ১০০ জন নির্মাণশ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
ব্যাংককের অন্তত দু’টি ভবন খালি করা হয়েছে এবং ভূমিকম্পের ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণের জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা দুই হাজার ভবন পরিদর্শন শুরু করেছে। ব্যাংককের ভবনগুলো শক্তিশালী ভূমিকম্প প্রতিরোধী হিসাবে নির্মিত নয় বলে সেখানে ঝুঁকি বেশি।