রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ অফিস সহকারী মাসুমা বেগম (৩২) মারা গেছেন। এর আগে শনিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে মারা যান স্কুলটির সপ্তম শ্রেণির ইংলিশ ভার্সনের শিক্ষার্থী জারিফ ফারহান (১৩)। এ নিয়ে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫-এ।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, জারিফের শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ ও শ্বাসনালী দগ্ধ ছিল। মাসুমার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল এবং শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ৩৮ জন ভর্তি আছেন, যাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
জারিফের বাবা মো. হাবিবুর রহমান জানান, তাদের বাড়ি রাজবাড়ীর সদর উপজেলার শ্রীপুরে। পরিবার নিয়ে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর রোডে বসবাস করেন তারা। দুই সন্তানের মধ্যে জারিফ ছিল ছোট।
২১ জুলাই দুপুর ১টার কিছু পরে বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমানটি মাইলস্টোন স্কুলের ভবনে বিধ্বস্ত হয়। অন্তর্বর্তী সরকার এ ঘটনায় এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এই সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ৪৮ জন দগ্ধ ও আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।