ঈদ উপলক্ষে গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। রাজধানী ও গাজীপুর ছাড়ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা গেছে ধীরগতি ও যানজট।
সাভার হাইওয়ে থানার ওসি সালেহ আহমেদ টাইমস অব বাংলাদেশকে জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, ঢাকা – টাঙ্গাইল সড়কে পরিবহনের চাপে একটু ধীরগতি রয়েছে। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও কাজ করছেন।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গি ও ভোগড়া বাইপাস থেকে সালনা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় যান চলাচলে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ও আশপাশে প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকায় গাড়ির চাপ ছিল বেশি। কোথাও কোথাও গাড়ি একেবারেই থেমে যায়।
বাসস্টপেজ, যাত্রী ওঠানামা ও পার্কিংয়ের কারণে কিছু এলাকায় জটলা দেখা দিয়েছে। তবে মহাসড়কের অন্যান্য অংশে যান চলাচল তুলনামূলকভাবে স্বাভাবিক রয়েছে।
যাত্রীরা জানান, বনানী থেকে কোনাবাড়ি পৌঁছাতে অসুবিধা হয়নি, কিন্তু কোনাবাড়ি থেকে চন্দ্রা যেতে আড়াই ঘণ্টা লেগেছে। এছাড়া সফিপুর থেকে চন্দ্রা যেতে সময় লাগছে এক-দুই ঘণ্টা।
পুলিশ জানায়, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব পালন করছেন চার হাজার পুলিশ সদস্য, সেনাবাহিনী ও বিজিবি।
বৃহস্পতিবার গাজীপুরের বাকি ৫০ ভাগ পোশাক কারখানা ছুটি হবে। ফলে বিকালে যানবাহনের চাপ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, এই সুযোগে পরিবহন মালিকরা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন।