রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় বুলডোজার দিয়ে সার্বজনীন শ্রীশ্রী দুর্গা মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট।
শুক্রবার সকালে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।
জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে বলেন, “আমরা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মন্দির পুনর্নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় শাহবাগ থেকে ‘মার্চ টু খিলক্ষেত’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘গত বছর দুর্গাপূজার সময় কিছু ব্যক্তি কোনো পূর্বানুমতি ছাড়াই খিলক্ষেতে রেলের জমিতে একটি পূজা মণ্ডপ তৈরি করে। পূজা শেষে মণ্ডপটি সরিয়ে নেয়ার শর্তে পূজা অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হয়।’
জনসাধারণের সম্পত্তি অবৈধ দখল মুক্ত করার লক্ষ্যে ‘সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন’ করে বৃহস্পতিবার খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমি থেকে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলা হয় বলে জানান উপদেষ্টা।
এদিকে মানববন্ধনে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের অন্যতম প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ কুমার হালদার অন্তর্বর্তী সরকারকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কাছে মন্দির ভাঙচুরে যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপাসনালয়ে এ ধরনের হামলা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য হুমকি। প্রশাসনের উপস্থিতিতে একটি ধর্মীয় উপাসনালয় ভেঙে দেওয়া গভীর উদ্বেগের। এটি ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘনের শামিল। অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি ও মন্দির পুনর্নির্মাণের ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।