পাকিস্তানের কাশ্মীরসহ বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় হামলার প্রতিবাদে বুধবার ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে।
এক সরকারি বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘আজ ভারতীয় চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে পাকিস্তান, আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে বিনা উসকানিতে চালানোয় ভারতীয় হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এই হামলায় নারী ও শিশুসহ বহু বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ভারতের এই উগ্র আগ্রাসন পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন ও রাষ্ট্রীয় সম্পর্কের নীতিমালার পরিপন্থী। পাকিস্তান ভারতের এই ভিত্তিহীন ও উসকানিমূলক আচরণকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
পাকিস্তান সতর্ক করে বলেছে, ‘ভারতের এমন বেপরোয়া আচরণ আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করছে।’
ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বুধবার রাতে পাকিস্তানে অন্তত ২৬ ‘বেসামরিক নাগরিক’ নিহত এবং আরও ৪৬ জন আহত হয়েছেন। পাক সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এ দিন দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন।
তবে ভারতের প্রভাবশালী নয়াদিল্লি টেলিভিশন (এনডিটি) দাবি করেছে, ভারতের ওই হামলায় নিহত হয়েছে ৭০ জন। এদিন দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বেসামরিক নাগরিকদের দেওয়া হচ্ছে ‘যুদ্ধ মহড়ার’ প্রশিক্ষণ। এই মহড়ার মধ্যে বিমান হামলাকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ গুরুত্ব।
গত মাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহেলগামে এক বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহতের জেরে ভারত সরকার পাকিস্তানে ওই হামলা চালাল। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তান-ভিত্তিক ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকেই দায়ী করে আসছে। পাকিস্তান অবশ্য এসব অভিযোগ নাকচ করেছে এবং পাল্টা অভিযোগ করে বলেছে, ভারতই হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ প্রেক্ষাপটে বুধবার প্রতিবেশী দুইদেশ সরাসরি সংঘাতে জড়াল।