রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া পাঁচ মরদেহের পরিচয় ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। পাঁচজনই ওই স্কুলের ছাত্রী।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এসব মরদেহের বিপরীতে ১১ জন দাবিদারের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ পাঁচজনের পরিচয় শনাক্ত করেছে সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাব।’
সনাক্ত হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী হচ্ছে-ওকিয়া ফেরদৌস নিধি, লামিয়া আক্তার সোনিয়া, আফসানা আক্তার প্রিয়া, রাইসা মনি ও মারিয়াম উম্মে আফিয়া।
এর আগে, সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) শম্পা ইয়াসমিন বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে থাকা পাঁচ মরদেহ বা দেহাবশেষ থেকে ১১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর বিপরীতে সিআইডিতে এসে এখন পর্যন্ত ১১ জন দাবিদার তাদের রক্তের নমুনা দিয়ে গেছেন। এদের মধ্যে এক পরিবারের একাধিক ব্যক্তিও রয়েছেন।
এদিকে, উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৫ বছর বয়সী এক ছেলে মারা গেছেন।
মৃতদেহের পরিচয় মাহতাব হিসেবে জানা গেছে। তিনি ৮৫ শতাংশ দগ্ধ ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১:৫২ মিনিটে হাসপাতালের আইসিইউতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন, জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
৫৬ জন আহত ভুক্তভোগী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৪ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে, ২১ জন ঢাকা সিএমএইচ-এ, একজন কুয়েত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ গভর্নমেন্ট হাসপাতালে, একজন শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং একজন উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকার বৃহস্পতিবার সকালেই বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিচয় প্রকাশ করেছে।