জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘মুজিববাদী’ ৭২-এর সংবিধানকে টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে বিএনপি। বিএনপি এখন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের দল। বিএনপি মুজিববাদের নতুন পাহারাদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’
সোমবার দুপুরে পটুয়াখালী পৌর শহরের মার্কেট হাউজের সামনে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচিতে এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
পথসভায় এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘চাঁদাবাজ ও মুজিববাদের নতুন পাহারাদার এসেছে, তাদের প্রতিহত করতে হবে, তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে।
আমরা অনৈক্য ও বিভাজন চাই না। যদি তারা (বিএনপি) জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে যদি কোনো শক্তি দাঁড়ায়, অবশ্যই তাদের সঙ্গে আমাদের ঐক্য সম্ভব নয়, যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা বলেছিলাম, মাফিয়া দুর্নীতি সিস্টেমের বদল ঘটাতে হবে। কিন্তু সে সিস্টেমকে পাহারা দেওয়ার জন্য নতুন দলের আবির্ভাব হয়েছে। সেই সিস্টেম সেই দুর্নীতি সেই চাঁদাবাজকে আগে আরেকটা দল পাহারা দিতো, এখন নতুন দল পাহারা দিচ্ছে।’
আমরা স্পষ্ট বলেছিলাম, শুধু হাসিনার পতন নয়, সেই সিস্টেম ও দুর্নীতির পতন ঘটাতে হবে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যোগ করেন নাহিদ।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘সেই নতুন বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে এখন আমরা নেমেছি। অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্র ও তরুণ নেতৃত্ব সেই সিস্টেমের পতন ঘটাতে চেয়েছিল। সেই অভ্যুত্থান পর থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলমান রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনা সরকার আমাদের বিরুদ্ধে যেভাবে ষড়যন্ত্র করেছে, গণঅভ্যুত্থানের পর সেই দুর্নীতিবাজ মাফিয়াদের সিস্টেম, আমলাতন্ত্রের সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলমান রেখেছে।’
ডিজিএফআই থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্টাবলিস্টমেন্টগুলো অভ্যুত্থানের শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলমান রেখেছে এবং বিভাজন তৈরি করেছে। আমরা ষড়যন্ত্রের জবাব দেবো জনসমর্থনের মাধ্যমে, তিনি বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে মূলধারার গণমাধ্যমেও আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের নেতাদের দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণ করার অপচেষ্টা চলছে। আমরা এর জবাব দেবো জনসমর্থনের শক্তিতে।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আব্দুল্লাহ, এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তর) সার্জিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক শামান্তা শারমিন, খান তালাত মাহমুদ রাফি ও মুজাহিদ শাহীনসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
সমাবেশ শেষে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা।