অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটকে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলই সমালোচনার চোখে দেখছে। বিএনপি বলছে, এতে ‘গুণগত কোনো পরিবর্তন নেই’। সিপিবি এটিকে ‘চমকহীন ও মন্দার বাজেট’ বলেছে। জামায়াতে ইসলামীর মতে, এতে ‘নতুনত্বের কোনো ছোঁয়া নেই’।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রস্তাবিত বাজেটে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে, যার মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং এক লাখ ১ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ থেকে আসবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সংখ্যাগত কিছু পরিবর্তন ছাড়া বাজেট কাঠামো আগের মতোই রয়ে গেছে। এমন উচ্চ বৈদেশিক ঋণ মাথায় রেখে বাজেটের পরিসর আরও ছোট হওয়া উচিত ছিল।’
সিপিবির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও আইএমএফের নির্দেশে খরচ কমানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও উৎপাদনশীল ব্যয়ের প্রসার নেই। ফলে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। বরং বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বাড়তে পারে।’
জামায়াত বলেছে, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর এই বাজেটে নতুন বাংলাদেশের ছাপ অনুপস্থিত।’ দলটি ‘বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার কার্যকর পরিকল্পনার অভাব ও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বৃদ্ধিকে হতাশাজনক’ বলেও উল্লেখ করে।