বাংলাদেশে বর্তমানে জঙ্গিবাদ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

টাইমস রিপোর্ট
3 Min Read
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) । ছবি: টাইমস

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বাংলাদেশে বর্তমানে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই বলে দাবি করেছেন। মালয়েশিয়া থেকে সম্প্রতি ফেরত পাঠানো তিনজন জঙ্গি নন, তাদের ভিসার সমস্যা ছিল বলে জানান তিনি।

রোববার সকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর রপ্তানি কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘সকলের সহযোগিতায় জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। এক্ষেত্রে মিডিয়া ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’

‘বিগত ১০ মাসে আপনারা জঙ্গিবাদের কোন তথ্য দিতে পেরেছেন? যখন ছিল তখন দিয়েছেন ৷ এখন নেই, তাই দিতে পারেন না ৷ বাংলাদেশে বর্তমানে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই।’

মালয়েশিয়ায় ‘জঙ্গি আটক’ ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘দেশে যে তিনজনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাদের কেউ জঙ্গি না ৷ এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রেস রিলিজও দিয়েছে। মূলতঃ তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনজনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

‘মালয়েশিয়ার পুলিশ প্রধান যে পাঁচজনকে নিয়ে কথা বলেছে, সেই পাঁচজন দেশে আসেনি। তাদের সাথে আমাদের সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের চেষ্টা হচ্ছে। আমরাও বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো। তবে বাংলাদেশে এদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কৃষি উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করছেন। তিনি বিমানবন্দরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের হিমাগারও পরিদর্শন করেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এখান থেকে শাক-সবজি, ফলমূল প্রভৃতি বিদেশে রপ্তানি করা হয়৷ রপ্তানি প্রক্রিয়া দেখার জন্যই কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনে আসা। কিছুদিন আগে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে আমাদের ফলমূল ও শাক-সবজি রপ্তানি করতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। সে সময় আমাদের ব্যবসায়ীদের অনেকেই ক্ষতির সম্মুখীন হন।’

‘যেহেতু আমাদের দেশের রপ্তানির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে, সেহেতু এখানে যে কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে সেটিকে আরও বড় করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের জন্য বড় সুখবর হচ্ছে আমাদের যে নতুন এক্সপোর্ট টার্মিনাল করা হচ্ছে- সেখানে যদি কোনো মালামাল/পণ্য স্ক্যানিং হওয়ার পরও বিমানে যেতে না পারে সঙ্গে সঙ্গেই এসব মাল কোল্ড স্টোরেজে রাখা যাবে।’

‘বর্তমানে যদি বিমানে ওভারলোড হয় তাহলে যেসব মাল রেখে দিতে হবে, সেসব মাল রাখার জন্য কোল্ড স্টোরেজ নেই। কিন্তু নতুন টার্মিনালে এই সুযোগটা থাকছে। আমরা শুধু ২/১ টা পণ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না। কীভাবে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করা যায় সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *