শ্রীলংকার প্রথম ইনিংসের অষ্টম ওভারে লাহিরু উদারাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেছিলেন তাইজুল ইসলাম। আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় নাজমুল হোসেন শান্ত রিভিউ নিলেও উদারা বেঁচে যান ‘আম্পায়ার্স কলে’। অবশ্য লাঞ্চ ব্রেকের পর সেই তাইজুলের বলেই ৪০ রানে এলবিডব্লিউ হয়েছে উদারা। ভাঙে নিসাঙ্কার সাথে তার ৮৮ রানের ওপেনিং জুটি। এরপর দ্বিতীয় সেশনে আর সাফল্যের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। নিসাঙ্কার সাথে ১০২* রানের জুটি গড়েছেন দীনেশ চান্দিমাল। দুজনের জোড়া ফিফটিতে ১ উইকেটে ১৯০ রান তুলে চা-বিরতিতে গেছে শ্রীলংকা। আর মাত্র ৫৭ রান পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ থেকে।
উদারার উইকেটের পর বাংলাদেশের বোলারদের খুব বেশি সুযোগ দেননি দুই লংকান ব্যাটার। উইকেট থেকে টার্ন পাওয়াতে মিরাজ-তাইজুলদের দিয়েই টানা বল করিয়েছেন শান্ত। দারুণ বলও করেছেন দুজন, তবুও সাফল্য আসেনি। ইনিংসের ৩৭তম ওভারে চান্দিমালের ব্যাট মিস করে প্যাডে লাগে তাইজুলের করা বল। ফুল লেংথে পড়ে বল যাচ্ছিল লেগ স্টাম্পের দিকে। সরাসরি প্যাডে লাগায় জোরালো আবেদনের মুখে আউট দেন আম্পায়ার। তবে চান্দিমাল রিভিউ নিলে দেখা যায়, লাইনে পিচ করলেও বল টার্ন করে যাচ্ছিল লেগ স্টাম্প লাইনের বাইরে। আউটের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয় অনফিল্ড আম্পায়ারকে।
এই রিভিউ কান্ড বাদ দিলে পুরো সেশনে বাংলাদেশ আনন্দে মাতার মতো উপলক্ষ একেবারেই পায়নি। দুই স্পিনার যতটা আঁটসাঁট বোলিং করছিলেন, পেসার নাহিদ রানা ছিলেন ততই এলোমেলো। সকালের সেশনে দুই ওভারে ২০ রান দেয়ার পর তাকে আবার বোলিংয়ে আনা হয় চা বিরতির আগে। টানা পাঁচ ওভারের স্পেলে এরপর দিয়েছেন আরো ১৭ রান। কিন্তু তার বোলিং এপ্রোচ ছিল একমাত্রিক। টানা বাউন্সার করে গেছেন দীনেশ চান্দিমালকে। ২৮-তম ফিফটি করা এই লঙ্কান ব্যাটারও যেন জানতেই শর্ট-পিচ ডেলিভারিই আসছে রানার হাত থেকে, তাই বল রিলিজের আগেই ডাক করার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন।
চান্দিমাল তৃতীয় সেশন শুরু করবেন ৫৪ রানে। আগের টেস্টে ১৮৭ রানে আউট হওয়া নিসাঙ্কা আছেন ঘরের মাঠে আরেকটি টেস্ট সেঞ্চুরির অপেক্ষায়। ১৫৫ বলে ৯৩* রানে আবার শেষ সেশনের ব্যাটিং শুরু হবে এই ডানহাতি ওপেনারের। এর আগে প্রথম ইনিংসে ২৪৭ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ।