জনশৃঙ্খলা বজায় এবং প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নিরাপত্তা রক্ষায় তার বাসভবন যমুনার আশপাশে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এর আগে গত ৬ আগস্টও একই ধরনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
ডিএমপি অর্ডিন্যান্সের ২৯ ধারায় পাওয়া ক্ষমতাবলে আগামী রোববার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে সেখানে জানানো হয়েছে।
একই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশ সচিবালয়ের আশপাশের এলাকার জন্যও বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয়, এর সংলগ্ন এলাকা, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও আশপাশের এলাকা অর্থাৎ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং ও মিন্টো রোড ক্রসিং এর মধ্যবর্তী এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হওয়ার পর বিভিন্ন সময় নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার আশপাশে অবস্থান নিয়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। গণঅভ্যুত্থানের মাসেই অর্থাৎ ২০২৪ সালের ২৪ আগস্ট রাতে সচিবালয়ের সামনে আনসার সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর সেই রাতেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার আশপাশে সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে গণবিজ্ঞপ্তি দেয় ডিএমপি। এরপর বেশ কয়েক দফায় ডিএমপিকে এই নির্দেশ দিতে হয়েছে। তবে প্রতিবারই দেখা গেছে, নির্দেশনা থাকার পরেও সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিক্ষোভ ঠিকই হয়েছে।
সবশেষ ৬ আগস্ট নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরেও যমুনা সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। যার সবশেষ উদাহরণ, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। গত ২৭ আগস্ট বুয়েটসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজেদের দাবিদাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে যমুনা অভিমুখে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে, একই সঙময় লাঠিচার্জও করে। এতে অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।