পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির পানছড়ির দূর্গম জগাপাড়া গ্রামে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ, প্রসিত) গ্রুপের সাথে সেনাবাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। পরে ওই এলাকায় তল্লাসী চালিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিভিন্ন সামরিক উপকরণ উদ্ধার করে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি সদর জোনের অধীনে পানছড়ি সাবজোনের একদল সেনাসদস্য উপজেলার জগাপাড়া গ্রামে ইউপিডিএফের এক সক্রিয় সদস্যের বাড়িতে অভিযান চালায়। টের পেয়ে ১৫ থেকে ২০ সদস্যের এক দল দুর্বৃত্ত সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়।
গুলিবিনিময়ের এক পর্যায়ে অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখানে তল্লাসী চালিয়ে একটি রাশিয়ান পিস্তলসহ বিপুল পরিমাণ গুলি ও সামরিক সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে দু’টি ম্যাগজিন, আট রাউন্ড এমোনেশন, সাত দশমিক ছয় দুই মিলিমিটারের ২০০ রাউন্ড এমোনেশন, একটি ওয়াকিটকি সেট এবং ব্যবহৃত ইউনিফর্ম প্রভৃতি।
পানছড়ি থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, ইউপিডিএফের সামরিক শাখার সদস্য ভুবন ত্রিপুরা, সুমেন চাকমাসহ বেশ কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে ইউপিডিএফের প্রেস সেকশনের প্রধান নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের সংগঠক অংগ্য মারমা এই ঘটনাকে ‘মিথ্যা ও সাজানো নাটক’ বলে দাবি করেছেন।

এর আগে ২৯ জুলাই আরেক পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাটের দুর্গম পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযানে একে-৪৭, রাইফেলসহ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
তবে ইউপিডিএফ (প্রসিত) মুখপাত্র অংগ্য মারমা ওই অভিযানকেও ‘সাজানো নাটক’ বলে টাইমস অব বাংলাদেশকে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন।