বলিউড স্টার সালমান খানের ‘সিকান্দার’ মুক্তি পেয়েছিল ঈদুল ফিতরকে টার্গেট করে। সিনেমাটি মুক্তির দিনেই ৩০ মার্চ আয় করে ২৭ দশমিক ৫ কোটি টাকা। দ্বিতীয় দিনের আয় ২৯ কোটি টাকা। শুরুটা এমন হলেও ২০০ কোটি টাকা বাজেটের সিনেমাটি শেষ পর্যন্ত সফলতা পায়নি। সব মিলিয়ে আয় ১০৪ কোটি টাকা। এ অবস্থার জন্য পাইরেসিকে দায়ী করছেন প্রযোজক। ইতিমধ্যে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে অডিট ফার্মকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলিউড হাঙ্গামা জানাচ্ছে, প্রাথমিক নিরীক্ষায় পাইরেসির কারণে সিনেমাটি ৯১ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আর এর জন্য বিমা দাবি করতে যাচ্ছে প্রযোজনা সংস্থা নাদিয়াদওয়ালা গ্র্যান্ডসন এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড (এনজিইপিএল)।

সিনেমাটির প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা ক্ষতির পরিমাণ ও কারণ যাচাইয়ে আরন্সট অ্যান্ড ইয়াং নামক অডিট ফার্মকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ফার্মটির নিরীক্ষায় ৯১ কোটি টাকা ক্ষতির অঙ্ক উঠে এসেছে। এই ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে বক্স অফিসের অনুমান, হলগুলোতে দর্শকদের সম্ভাব্য উপস্থিতি, অঞ্চলভিত্তিক আয়, অবৈধ স্ট্রিম ও ডাউনলোড ট্র্যাকিং, সব মিলিয়ে একটি বিশ্লেষণাত্মক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
নিরীক্ষায় উঠে আসে, সিনেমাটি মুক্তির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, কিছু ক্ষেত্রে মুক্তির আগেই, পাইরেটেড কপি টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন সাইটে ছড়িয়ে পড়ে। এসব কপিতে এমন কিছু দৃশ্য ছিল, যা থিয়েটার ভার্সনে ছিল না। যেমন- ধরাভিতে মেডিকেল ছাত্রদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, কামারউদ্দিনের দীর্ঘ ফ্ল্যাশব্যাক, বৈদেহীর আত্মহত্যার চেষ্টা ও কিছু সংলাপবিহীন দৃশ্য।
পাইরেটেড ভার্সনে ‘লাগ যা গলে’ গানে ইলিয়া ভানতুরের কণ্ঠ ছিল না, সেখানে ১৯৬৪ সালের ভার্সনটি ব্যবহার করা হয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে ফাঁসটি সম্ভবত সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই ঘটেছে, যার সাথে অভ্যন্তরীণ কেউ জড়িত।
আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও বিমা দাবি দাখিল করা হয়নি, তবে এটি করা হলে তা হবে পাইরেসির জন্য বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিমা দাবি।
প্রযোজনা সংস্থা এনজিইপিএল অবশ্য বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।