গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নাক আরও বাঁকা হয়ে গেছে। তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেন, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী সপ্তাহে নুরকে দেশের বাইরে নেওয়া হতে পারে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রাশেদ খান।
এ সময় তিনি দাবি করেন, হামলায় গুরুতর আহত নুরকে সুস্থ দেখানোর পরিকল্পনা করছে একটি মহল। চিকিৎসকরা নুরুল হক নুরকে ‘সুস্থ’ বললেও তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন।
নুরুল হক নুর এখনো মুখে খেতে পারছে না জানিয়ে রাশেদ বলেন, ‘তার নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে, তিনি একা উঠে দাঁড়াতে বা হাঁটতে পারছেন না, মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছেন। মাথায় আঘাত পাওয়ায় তার মস্তিষ্ক ঠিকমত কাজ করছে না। ওয়াশরুমেও ধরে নিয়ে যেতে হচ্ছে।’
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কাজ শুরু করেছেন বলেও জানান রাশেদ।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরও জানান, মঙ্গলবারও নুরসহ দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে। জাতীয় পার্টি ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ এবং তাদেরকে কেন্দ্র করেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে ফের পুনর্বাসিত করার পরিকল্পনা ছিল দাবি করে রাশেদ খান বলেন, ‘সরকারকে বলেছি, ফ্যাসিস্টের ওই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে নুরুল হক নুরসহ আমরা কথা বলেছি; তাদের মুখোশ উন্মোচন করেছি। তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় নুরুল হক নুরসহ আমাদের শতাধিক নেতাকর্মীর ওপর আক্রমণ হয়েছে।’
‘ছয়দিন ধরে নুর হাসপাতালে আছেন তবুও এখন পর্যন্ত তার ওপর হামলায় জড়িত সেনা ও পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এটি সরকারের জন্য অত্যন্ত লজ্জার’, যোগ করেন রাশেদ।
তিনি আরও দাবি করেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশনা ব্যতীত এ ধরনের হামলার সুযোগ নাই। কাজেই এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রত্যাহার করতে হবে।’
গত ২৯ আগস্ট ঢাকার রমনার বিজয়নগর এলাকায় জাতীয় পার্টি ও গণধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গণধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় নুরকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।