নিরাপত্তা চাইলেন মানি চেঞ্জার্স ব্যবসায়ীরা

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এমসিএবির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: টাইমস
Highlights
  •  ‘জুলাই-আগস্ট আন্দলনের পর ছিনতাই, ডাকাতিসহ হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বেড়েছে। এ সময় প্রায় চার থেকে পাঁচ কোটি টাকা ছিনতাই বা ডাকাতি হয়েছে।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর (অব.) কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন ‘মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এমসিএবি) মহাসচিব গৌতম দে।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পর থেকে ছিনতাই, ডাকাতিসহ হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডের শিকার হচ্ছে বৈধ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো বলেও দাবি করেন তারা। মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি এমএস জামান এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, ২০২৪ সালের ১৯ অক্টোবর ধানমন্ডির সাতমসজিদ সড়কে কেয়ারি প্লাজার বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান ডেল্টা ব্যুরো ডি চেঞ্জের ব্যবস্থাপক এ রাসেল আলীর কাছে থাকা প্রতিষ্ঠানের ৫০ লাখ টাকা দুর্বৃত্তরা লুট করে নিয়ে যায়।

এছাড়া এ বছরের ২৮ মে মিরপুরে মাহমুদ মানি এক্সচেঞ্জের মালিক রাসেল রানা ও তার ভগ্নিপতি জাহিদুল হকের কাছ থেকে ছয় জন দুর্বৃত্ত ফাঁকা গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে প্রায় ২২ লাখ নগদ ও ৮ লাখ সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা, যোগ করেন তিনি।

এ ঘটনায় ১৮ জুন ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, এরা সবাই পেশাদার ডাকাত।

এ রকম আরো অনেক ছিনতাই বা ডাকাতির কথা জানান সংগঠনটির মহাসচিব গৌতম দে।

তিনি বলেন,  ‘জুলাই-আগস্ট আন্দলনের পর ছিনতাই, ডাকাতিসহ হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বেড়েছে। এ সময় প্রায় চার থেকে পাঁচ কোটি টাকা ছিনতাই বা ডাকাতি হয়েছে।’

এম এস জামান বলেন, ‘প্রশাসন বা মন্ত্রণালয় থেকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তার গতি ধীর। এসব ছিনতাই, ডাকাতির পেছনে অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর হাত থাকতে পারে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ বা গোয়েন্দা সংস্থা অনেক সময় অভিযানের সময় ভুল করে বৈধ মানি এক্সচেঞ্জকেও হেনস্তা করে। কারণ, অবৈধদের কারণে এ খাতের সুনাম নষ্ট হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, দেশব্যাপী যত্রতত্র অবৈধভাবে পরিচালিত লাইসেন্সবিহীন অননুমোদিত ও পরিচালিত মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা বৈধ মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীদের জন্য চরম হুমকির অবস্থা সৃষ্টি করছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিরাপত্তার জন্য জোর দাবি জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সচিব কে এম মাকছুদুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ মো. সবুজ মোল্যা ও কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *