দেশের সংকটে এখনো অন্তর্বর্তী সরকারই সমাধান: ইউনূস

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: আল-জাজিরার ভিডিও ক্লিপ থেকে নেওয়া
Highlights
  • 'মানুষ এখনো মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো সমাধান। কেউ বলছে না, অন্তর্বর্তী সরকার চলে যাক বা আজই নির্বাচন হোক।'

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এখনো অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণ একটি ভালো সমাধান হিসেবে দেখছে বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল–জাজিরার বৈশ্বিক সাক্ষাৎকার সিরিজ ‘টক টু আল–জাজিরা’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সাক্ষাৎকারটি আল–জাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।

অনুষ্ঠানের উপস্থাপক তাকে প্রশ্ন করেন, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ পর্ব কি শেষের পথে, এবং বর্তমানে যে সব বড় চ্যালেঞ্জ সামনে এসেছে তার সুনির্দিষ্ট সমাধান কী?

এর জবাবে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘মানুষ এখনো মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো সমাধান। কেউ বলছে না, অন্তর্বর্তী সরকার চলে যাক বা আজই নির্বাচন হোক।’

‘এখন পর্যন্ত জনগণের কাছ থেকে এমন কোনো চাপ আসেনি যে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে’, যোগ করেন তিনি।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমরা জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছি, যাতে রোহিঙ্গারা নিরাপদে তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি করে তাদের টেকসই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।’

সাক্ষাৎকারে মুহাম্মদ ইউনূস বিগত অনিয়ম ও দুর্নীতির অবসান ঘটিয়ে দেশে অর্থবহ সংস্কার এবং ইতিহাসের সেরা নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি জানান, যদি সংস্কারের তালিকা ছোট হয়, তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে; আর যদি তা বড় হয়, তবে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে হবে নির্বাচন। ‘জুনের পরে নির্বাচন পিছিয়ে যাবে না’, বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের প্রশ্নে ইউনূস বলেন, ‘এর একটি বড় অংশ আওয়ামী লীগের নিজের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। দলটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়নি।’

পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ও প্রক্রিয়াও এখানে গুরুত্বপূর্ণ।’

তবে তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর করে সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেওয়া হবে না, বরং আইনি কাঠামোর আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

 

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *