অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মীর মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলালউদ্দিনকে খালাস দিয়েছে আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে হাইকোর্টের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করে।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ।
২০০৭ সালের ৬ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদক গুলশান থানায় মামলা করে মীর নাসির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে। একই বছরের ৪ জুলাই বিশেষ জজ আদালত মীর নাসিরকে ১৩ বছর ও মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন।
হাইকোর্টে আপিল করলে ২০১০ সালে তারা খালাস পান। তবে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।
পরে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট তাদের আগের সাজা বহাল রাখে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আত্মসমর্পণ করে লিভ-টু-আপিল করেন তারা। শুনানি শেষে আদালত তাদের সাজা স্থগিত করে দেন।
অন্যদিকে ২০০৭ সালের মার্চে ৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকার সম্পদের হিসাব ও আয়ের উৎস গোপনের অভিযোগে দুদক মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে। ওই বছরের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত তাকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন। আপিলে ২০১১ সালের ১৫ জুন হাইকোর্ট তাকে খালাস দেন। পরে দুদকের আপিলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ খালাসের রায় বাতিল করে ফের শুনানির নির্দেশ দেয়।
২০২৩ সালের ২৬ জুলাই বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ টুকুর ৯ বছরের সাজা বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন। ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি তা না করায় ১১ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। সর্বশেষ আপিল বিভাগ তার সাজা বাতিল করে খালাস দেন।