যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘শ্বেতাঙ্গ চাষিদের গণহত্যা ও জমি দখলের’ অভিযোগ তুলে দেশটির অর্থসহায়তা বন্ধ করলেও, অনেকে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার রক্ষণশীল শ্বেতাঙ্গরাও ‘গণহত্যা’র কথা স্বীকার করেননি।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার বোথাভিলে একটি কৃষি মেলায় শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান কৃষকরা হত্যাকাণ্ডের শিকার স্বজনদের নাম খচিত একটি স্মারকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে এ ঘটনা ঘটলো।
কৃষিমন্ত্রী জন স্টেনহুইসেন বলেন, ‘রামাফোসা যেন ওয়াশিংটন সফরে এই ভুল তথ্যের বিপরীতে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেন—দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনো গণহত্যা বা ব্যাপক জমি কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে না।’
যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে অন্তত ৪৯ আফ্রিকানকে শরণার্থী মর্যাদা দিয়েছে। তারা ‘জাতিগত নিপীড়ন ও জমি দখলের’ আশঙ্কায় দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন। তবে সরকারি তথ্য বলছে, কৃষি খাতে সহিংসতার শিকার হচ্ছেন কৃষ্ণাঙ্গরাও।
‘এটা বর্ণের নয়, দুর্বলতার ইস্যু,’ বলেন ইস্টার্ন কেপের কৃষ্ণাঙ্গ কৃষক থোবানি এনটঙ্গা।
‘গ্রামাঞ্চলে চাষিরা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকেন, তাই অপরাধীরা সুযোগ নেয়,’ যোগ করেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট রামাফোসা নিজেও গরু খামার চালান। ২০ বছর পর তিনি ওই কৃষি মেলায় এসে বলেন, ‘আমরা সমস্যার মুখোমুখি হব, পালাব না। পালানো কাপুরুষতা।’