তেল আবিবে পাল্টা হামলা করল ইরান

2 Min Read
তেল আবিবের উত্তরাংশে ইরানের পাল্টা হামলা। ছবি টিভি থেকে নেওয়া
Highlights
  • এর আগে রোববার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ অভিযানে সরাসরি যুক্ত হয়।

ইরানের একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রবিবার ভোরে তেল আবিবের উত্তরাংশে একটি আবাসিক ভবনে আঘাত হানে। এতে তিন থেকে চারতলা ভবনটির ওপরের অংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।

মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের লাইভ নিউজে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি ভবনের ওপরের অংশ বিধ্বস্ত করেছে। হামলায় কংক্রিটের দেওয়াল ভেঙে ফেলার পাশাপাশি ভবনের সব জানালার ভেঙে গেছে।

সিএনএনের টিম দেখতে পায়, বিস্ফোরণের আঘাতে ঘরের আসবাবপত্র লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে, ছিটকে পড়ে আছে বিভিন্ন জিনিসপত্র। গাছের ডালে জড়িয়ে আছে গদি, পর্দা ও অন্যান্য ভাঙা আসবাবের অংশ।

এর আগে রোববার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ অভিযানে সরাসরি যুক্ত হয়।

ওয়াশিনটন থেকে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে জানান, ‘ইরানের প্রধান পরমাণু স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’

একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, ‘যদি ইরান পাল্টা হামলা চালায়, তাহলে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে “শান্তি না হয় বিপর্যয়।”

ইরানের পরমাণু সংস্থা স্বীকার করেছে যে, ফোরদো, ইসফাহান ও নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা হয়েছে। তবে তারা জানিয়েছে, এসব হামলায় তাদের পরমাণু কার্যক্রম থেমে যাবে না।

ইসরায়েল এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইরানে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে আসছে, যার লক্ষ্য ছিল দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অকার্যকর করা এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করা। যুক্তরাষ্ট্রের গোপন স্টেলথ বোমারু বিমান ও ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের বিশেষ বাঙ্কার বাস্টার বোমা ব্যবহার করে গভীর ভূগর্ভস্থ স্থাপনাগুলো ধ্বংসে সহযোগিতা করেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের দশম দিনে এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে বড় ধরনের যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের এই যুগপৎ অভিযানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ মোড়’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সকালে উদ্ধার ও উদ্ধারোত্তর দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধ্বংসস্তূপ সরানো শুরু করে। ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করা হচ্ছে এবং আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনও ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ হিসাব প্রকাশ না করলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার ভয়াবহতায় পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার এই দৃশ্য নতুন করে মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতের ভয়াবহতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *