সম্প্রতি তিনটি গণমাধ্যমের তিনজন সংবাদকর্মীকে চাকরিচ্যুতির ঘটনায় সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘তাদের চাকরিচ্যুতি নিজ নিজ অফিসের সিদ্ধান্ত। এখানে সরকারের ন্যূনতম ভূমিকাও ছিল না।’
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ: গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রেস সচিব জানান, গত ১৬ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ভূমিকা কেমন ছিল, তা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে জাতিসংঘের সহযোগিতা চাওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ‘এখনকার মতো বাক-স্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা আর কখনোই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ভোগ করেনি।’
চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যেসব সাংবাদিক ‘আন্দোলনকারীদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে বিতর্কিত অবস্থান’ নিয়েছিলেন, তা তদন্ত করে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘একদিকে স্বৈরাচারের দোসররা অপতথ্য ছড়াচ্ছে, অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের সহায়তায় ভারতীয় মিডিয়া মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের এই অপতৎপরতা সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে।’ তাই সংবাদের সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘বর্তমান সরকার সমালোচনাকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সবাইকে মন খুলে সরকারের সমালোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন, সমালোচনা হচ্ছেও। এমনকি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমেও সরকারের সমালোচনা করে দেদারসে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে, নিকট অতীতে যা ছিল অকল্পনীয় বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে কোনো তথ্যই আজকাল গোপন রাখা যায় না। কোনো না কোনো মাধ্যমে তা ঠিকই প্রকাশ পেয়ে যায়। হোক তা মূলধারার গণমাধ্যম, কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।’