সারাদেশে চলছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি। সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনসহ তিন দফা দাবিতে এই কর্মবিরতি। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ ডাকে চলছে এই আন্দোলন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি আনিসুর রহমান জানান, সোমবার সকালে শুরু হওয়া এ কর্মবিরতিতে শিক্ষকরা স্কুলে উপস্থিত থাকলেও কোনো ক্লাস নিচ্ছেন না।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, সহকারী শিক্ষক পদকে একাদশ গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা দূর এবং প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি নিশ্চিত হোক।’
এর আগে শিক্ষকরা ৫ মে থেকে পর্যায়ক্রমে এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা ও অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন। আর এখন তারা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা সংস্কার পরামর্শক কমিটি সম্প্রতি সুপারিশ করেছে– সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করে এন্ট্রি লেভেলে দ্বাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চার বছর পর একাদশ গ্রেড এবং পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার। তবে শিক্ষকরা দাবি করছেন, তারা শুরু থেকেই একাদশ গ্রেড চান।
দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় তিন লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত। আন্দোলনকারীরা বলছেন, এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।