বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলে সরকার তার ভ্রমণ সংক্রান্ত কাগজপত্র দিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ফিরে আসার বিষয়টি তারেক রহমানের নিজস্ব সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। তবে যখনই প্রয়োজন হবে, তার ভ্রমণ নথি বা পাসপোর্ট সম্পর্কিত বিষয়গুলো আমরা দেখব।’
বৃহস্পতিবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে তারেক রহমান পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন কি না সে সম্পর্কে কোনো তথ্য তার কাছে নেই।
উপদেষ্টা বলেন, ‘তারেক রহমানকে প্রথমে দেশে ফেরার ব্যাপারে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দলের বর্তমান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে বাস করছেন।
২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হলে ৭ মার্চ দুর্নীতিবিরোধী এক অভিযানে গ্রেপ্তার হন তারেক রহমান। পরের বছর নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মুক্তি দিকে শুরু করে সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্ত হন তারেক। এক সপ্তাহ পর ১১ সেপ্টেম্বর স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে দেশ ছাড়েন তিনি। সেই থেকে তিনি লন্ডনে রয়েছেন।
গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ধারণা করা হয়েছিল দেশে ফিরবেন তারেক, দলের শীর্ষ নেতারাও বারবার বলেছেন শিগগিরিই দেশে ফিরবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তবে এখন পর্যন্ত দেশে ফেরার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি স্বয়ং তারেক রহমান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়েও প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বিষয়ে ঢাকা যে অনুরোধ জানিয়েছিল, সে ব্যাপারে এখনো কোনো অগ্রগতি নেই।
তিনি এটাও জানান যে, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় কোনো অনুরোধপত্র বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়নি।