রোববার পবিত্র আশুরা ((১০ মহররম) পালন করা হবে। এ উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময়ে তাজিয়া মিছিল বের হবে। তাজিয়া মিছিল নির্বিঘ্নে চলা নিশ্চিত করতে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
নিষেধাজ্ঞার মধ্য আছে তাজিয়া মিছিলে দা, ছুরি, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি বহন এবং আতশবাজি ও পটকা ফোটানো যাবে না। বুধবার ডিএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তাজিয়া মিছিলে পাইক দলভুক্ত ব্যক্তিরা দা, ছুরি, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে অংশগ্রহণ করেন, যা ক্ষেত্র বিশেষে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এটা ধর্মপ্রাণ ও নগরবাসীর মনে আতঙ্ক, ভীতি সৃষ্টিসহ জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তা ছাড়া মহররম মাসে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়, যা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তাজিয়া মিছিলে দা, ছুরি, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি বহন এবং আতশবাজি ও পটকা ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ডিএমপি।
তাজিয়া মিছিলের শুরু থেকে শেষ সময় পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে ডিএমপি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
১০ মহররম বিশ্বজুড়ে মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ একটি দিন। হিজরি সনের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা হিসেবে বেশি পরিচিত। মহান আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল রোজা, নামাজ, দান-খয়রাত ও জিকির-আসকারের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন।
আরবি ‘আশারা’ শব্দের অর্থ দশ। আর আশুরা মানে দশম। আর মহররম অর্থ সম্মানিত। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং তার পরিবারের সদস্যরা কারবালার ময়দানে ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে শহীদ হন।
কারবালার বিয়োগান্ত ঘটনা ছাড়াও ইসলামের ইতিহাসে এই দিনে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। হজরত মুসা (আ.) ফেরাউনের জুলুম থেকে এই দিনে পরিত্রাণ লাভ করেছিলেন তার অনুসারীদের নিয়ে। ইব্রাহিম (আ.) নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে এই দিনে মুক্তি পান।