রাজধানী ঢাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর, যা শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ‘‘ভারি বৃষ্টি’’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বুধবার আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে এবং হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব অথবা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।
সকালে ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৮ শতাংশ। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বুধবার সকাল ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জারি করা পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত পূর্বাভাসে জানানো হয়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার হয়ে লঘুচাপ কেন্দ্র অতিক্রম করে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ও আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অক্ষের একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে। মৌসুমি বায়ু বর্তমানে বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এই অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় এবং রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষ করে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের আশঙ্কা করা হয়েছে।
তবে সারাদেশেই দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।