রাজধানীর জুরাইনে ফুটপাত থেকে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে শ্যামপুর থানা পুলিশ। এর মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও পরিবারের কেউ মরদেহ নিতে রাজি হচ্ছিল না। পরে কৌশল হিসেবে পুলিশ জানায়, মরদেহের পাশে ২ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। এ খবর শুনেই মৃত ব্যক্তির দুই স্ত্রী ছুটে আসেন স্বামীর মরদেহ নিতে।
সোমবার বিকালে জুরাইন সালাউদ্দিন পেট্রোল পাম্পসংলগ্ন যাত্রীছাউনির পাশে দুই ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে শ্যামপুর থানা পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এম ইরফান উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি যাত্রীছাউনির পাশে দুজন মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। তাৎক্ষণিকভাবে একজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেলেও অপরজনের পরিচয় মেলেনি।’
শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি হলেন মনির (৩৮)। তিনি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার যোগিরকান্দা গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে এবং রাজধানীর মুরাদপুর এলাকায় থাকেন। মনিরের দুই স্ত্রী ছিল, তবে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না, জানান তিনি।
এসআই ইরফান বলেন, ‘অসুস্থতার কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
থানার আরেক পুলিশ সদস্য জানান, মনিরের স্বজনদের ফোনে জানানো হলে তারা মরদেহ নিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে কৌশল হিসেবে জানানো হয়, মরদেহের পাশে ২ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। এ কথা শোনার পরই দুই স্ত্রী ছুটে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। তখন তারা টাকার খোঁজ করতে থাকেন এবং ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন।
তবে পরে পুলিশ তাদের জানায়, টাকার খবরটি ছিল মরদেহ সঠিকভাবে শনাক্ত করার জন্য পুলিশের একটি কৌশল।