আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও লোকসঙ্গীতশিল্পী মমতাজ বেগমকে মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছিল। সেখানে বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে পড়ে তিনি জুতা হারিয়ে ফেলেছেন। পুলিশ তাকে নিয়ে আদালত এলাকা ত্যাগ করলেও ঘটনাস্থলের আশেপাশে তার জুতা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
মমতাজকে মঙ্গলবার দুপুর ২টা ১৭ মিনিটের দিকে আদালত প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়। তিনি তখন বুলেটপ্রুফ ভেস্ট ও হেলমেট পরিহিত অবস্থায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ছিলেন।
তবে তার আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং আইনজীবী, সাংবাদিক ও উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়।
পুলিশের ব্যারিকেড থাকলেও আদালতের বাইরে দ্রুতই ভিড় বেড়ে যায় এবং তাকে হেফাজতে নেওয়ার সময় ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
পুলিশের আবেদনে সাগর হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
আদালতের রিমান্ড আদেশের পর যখন পুলিশ তাকে দ্রুত করিডোর দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তাকে লিফটের মাধ্যমে নীচে নামাতে বাধা দেন কিছু আইনজীবি। তখন ঝামেলা এড়াতে পুলিশ প্রায় আধাঘণ্টা মমতাজকে আদালতে বসিয়ে রাখেন। এরপর নীচে নামালে মমতাজকে ঘিরে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তখনই তার পায়ের জুতা খুলে যায়।
পুরো ঘটনার সময় মমতাজ মুখ নিচু করে রেখেছিলেন এবং কোনো কথা বলেননি। পুলিশ যখন তাকে ভিড়ের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন কয়েকজন আইনজীবীও ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন বলে জানা গেছে।
আদালতের হাজতখানার দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মমতাজ আদালতে প্রবেশ করার সময় তিনি জুতা পরে ছিলেন কিনা, তা তিনি খেয়াল করেননি।
তিনি বলেন, “তাকে হাজতখানা থেকে পাঠানো হয়েছে। ভিড়ের মধ্যে তার জুতার খোঁজ রাখা সম্ভব হয়নি।”
ঘটনার পর উপস্থিতরা কোর্ট হাজতের গেটের কাছে পরিত্যক্ত জুতা দেখতে পান, যা সোমবার রাতে ধানমণ্ডি থেকে গোয়েন্দা পুলিশের অফিসে নেওয়ার সময় মমতাজের পায়ে দেখা গিয়েছিল।