রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে বিএনপি থাকছে না। দলের কোনো প্রতিনিধি যোগ দিচ্ছেন না এতে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
সম্প্রতি পুরনো ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ীক বিরোধের জেরে লালচাঁদ, ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যায় বিএনপি ও এর সহযোগি কয়েকজনের নাম আসায় জামায়াত-শিবির একাধিক মিছিল-সমাবেশ থেকে সরাসরি বিএনপি বিরোধী বক্তব্য প্রচার করে। পাল্টা বিএনপি-ছাত্রদলের পক্ষ থেকে অনুরূপ কর্মসূচিতে জামায়াত বিরোধী তীব্র বক্তব্য দেওয়া হয়।
এমন আবহে সোহরাওয়ার্দীতে জামায়াতের সমাবেশে বিএনপির কোনো নেতা নেই।
তবে ওই সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও খেলাফত মজলিসসহ অন্যান্য ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এসব দল পিআর পদ্ধতিতে (ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টন) নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

জামায়াত নেতারা জানিয়েছেন, সারাদেশ থেকে প্রায় দশ লাখ নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এতে দলীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, শহীদ পরিবারের সদস্য ও আমন্ত্রিত পেশাজীবীরাও উপস্থিত থাকবেন। এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তারা বক্তব্যও দেবেন বলে জানিয়েছে জামায়াত।
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ৫৪ বছরে জামায়াতের ওপর বারবার নির্যাতন হয়েছে, বিশেষ করে গত ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে। এবার একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে নিজেদের দাবি জানানোর। তাই প্রথমবারের মতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করছে জামায়াত।
এর আগে ২৮ জুন একই স্থানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে জামায়াতসহ ১১টি দল পিআর পদ্ধতির দাবিতে একমঞ্চে দাঁড়িয়েছিল। তারা বিএনপিকেও এই পদ্ধতি গ্রহণের আহ্বান জানালেও এতে সাড়া মেলেনি।