‘ছয় মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ’ মামলায় কারাগারে নোবেল

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। ছবি: ডিএমপি
Highlights
  • ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং মামলা দায়েরের পর নোবেলকে গ্রেপ্তার করে। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

‘অপহরণ, ধর্ষণ ও মারধরের’ মামলায় সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।  মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে রাজধানীর ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

সঙ্গীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। ছবি: ফেসবুক পেজ

ডেমরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন জানান, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, নোবেল এক তরুণীকে সিঁড়ি দিয়ে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে নিচ্ছেন। ঘটনার পর ওই তরুণী নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, পর্নোগ্রাফি ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেন।

মামলায় বলা হয়, ২০১৮ সালে সামাজিক মাধ্যমে পরিচয় হওয়ার পর ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর নোবেল তরুণীকে ডেমরার বাসায় ডেকে নিয়ে যান এবং সঙ্গীদের সহায়তায় আটকে রাখেন। তার মোবাইল ভেঙে ফেলা হয় এবং নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মারধর ও ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করা হয় বলে অভিযোগ। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিতে মেয়েটিকে ১৩ মে পর্যন্ত জিম্মি করে রাখা হয়।

৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং মামলা দায়েরের পর নোবেলকে গ্রেপ্তার করে। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

২০১৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জি বাংলা চ্যানেলের গানবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’-তে গান গেয়ে দুই বাংলায় রাতারাতি সুনাম অর্জন করেন নোবেল।

তবে মাদকাসক্তি, স্টেজ ভাঙচুর, স্ত্রী নির্যাতন ও বিচ্ছেদের মামলা, টাকা নিয়ে শো না করার প্রতারণা মামলা – এমন নানা অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ হন তিনি। ২০২৩ সালে নারী অপহরণের মামলায়ও অভিযুক্ত হন নোবেল।

২০২৪ সালে বেশ কিছুদিন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়ে সম্প্রতি তিনি গানের জগতে ফিরে এসেছিলেন । কিন্তু এরপর আবারও অপরাধে জড়ালেন নোবেল।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *