ইউক্রেন যদি ‘শান্তি চুক্তিতে’ রাজি না হয় তাহলে রাশিয়া তার লক্ষ্য অর্জনে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। ইউক্রেনের প্রতি এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার চীনে বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়, বেইজিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ‘এখনও উপায় আছে। বুদ্ধি থাকলে গ্রহণযোগ্য সমাধান সম্ভব। আর যদি না হয়, আমাদের সব উদ্দেশ্য সামরিকভাবেই পূরণ করতে হবে।’ এসময় তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চল থেকে রাশিয়া কখনোই সরে আসবে না।
চীনের সামরিক সক্ষমতার ওই প্রদর্শনীতে প্রথমবারের মতো দেখা যায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী শি জিন পিং, পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের একই মঞ্চে ঐতিহাসিক উপস্থিতি। তিন নেতার এই সখ্যকে পশ্চিমা বিশ্বের জন্য হুঁশিয়ারি হিসেবে দেখছেন কূটনীতিকরা।

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে অনেকদিন ধরে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালাচ্ছেন ট্রাম্প। তবে পুতিন এখনও ইউক্রেন প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘শান্তি আলোচনায়’ রাজি হননি। অবশ্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ট্রাম্পের ‘আন্তরিক প্রচেষ্টাকে’ স্বাগত জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সচিব জন হিলি বলেছেন, পুতিনকে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় আলোচনায় বসতে অনেকটাই বাধ্য করেছেন ট্রাম্প। কাজেই ভবিষ্যতেও যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের ওপর তিনি আরও চাপ প্রয়োগ করতে পারেন। তবে যুদ্ধ বন্ধের ভবিষ্যৎ আলোচনা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে হবে নাকি ট্রাম্পের সঙ্গে তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে বলেও মনে করছেন হিলি।
চীনে অবস্থানকালে পুতিন বলেন, ‘আমি কখনও এমন বৈঠকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেইনি। তবে ওই পক্ষের (ইউক্রেন) সঙ্গে বৈঠকের কোনো অর্থ আছে কিনা, তা ভেবে দেখা হচ্ছে।’
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও জানান, জেলেনস্কি চাইলে মস্কোয় তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তবে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেলেনস্কির মস্কো সফরের সম্ভাবনাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।