চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে ভাঙচুর করেছে স্বজনরা। তাদের অভিযোগ, চিকিৎসকের অবহেলায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় হাসপাতালের ভেতরে প্রায় দুই শতাধিক রোগী ও স্বজন আটকা পড়েন।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি’র খবরে বলা হয়, শুক্রবার সকালে কেরোয়া এলাকার ফরিদগঞ্জ ডায়াবেটিক ও জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদগঞ্জের কেরোয়া গ্রামের ইসহাক মিয়ার স্ত্রী কোহিনুর বেগম (৬৫) অসুস্থ অবস্থায় ওই প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান। স্বজনদের দাবি, কোহিনুর বেগমের চিকিৎসায় অবহেলা করা হয়েছে।
এ নিয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে হাসপাতালের কিছু কর্মচারী কোহিনুর বেগমের পরিবারের লোকজনের গায়ে হাত তোলেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
পরে উত্তেজিত স্বজনরা স্থানীয় পরিচিতজনদের নিয়ে ওই হাসপাতালে ভাঙচুর করেন।
খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ, সাবেক পৌর মেয়র মঞ্জিল হোসেন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মৃত কোহিনুর বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘রোগীকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাতে অনুমতি দেয়নি। একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও হাসপাতালের পরিচালক ও সিনিয়র চিকিৎসক সাদিক হাসপাতালে আসেননি। চিকিৎসকের অবহেলায় আমাদের রোগী মারা গেছেন।’
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক হুমায়ুন কবীর ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি কয়েকবার রোগীকে দেখেছি। আমাদের কোনো অবহেলা ছিল না। উপজেলা পর্যায়ে যতটুকু সম্ভব আমরা চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। শুক্রবার সকালে এই রোগীকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছিল কিন্তু তিনি সকালেই মারা যান।’