জার্মানির বার্লিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন নির্বাসিত কবি ও সাংবাদিক দাউদ হায়দার। বাংলাদেশ সময় রোববার (২৭ এপ্রিল) রাত পৌনে ২টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
কবির ছোট ভাই জাহিদ হায়দার সাংবাদিকদের জানান, গত ১২ ডিসেম্বর বার্লিনের বাসার সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে আহত হন দাউদ হায়দার। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার কোলন ক্যান্সার ধরা পড়ে। তবে শরীরের অবস্থা দুর্বল থাকায় কেমোথেরাপি দেওয়া সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি বয়সজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। এসব কারণে দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকার পর অবশেষে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পাবনার দোহারপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন সত্তর দশকের অন্যতম ‘আধুনিক কবি’ দাউদ হায়দার।
তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’, ‘সম্পন্ন মানুষ নই’, ‘নারকীয় ভূবনের কবিতা’, ‘যে দেশে সবাই অন্ধ’, ‘ধূসর গোধূলি ধূলিময়’, ‘আমি ভালো আছি, তুমি?’
আর প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে আরও রয়েছে-‘নির্বাসিত’, ‘সংগস অব ডেস্পায়ার’, ‘এই শাওনে এই পরবাসে’, ‘বানিশম্যান্ট’, ‘আমি পুড়েছি জ্বালা ও আগুনে’, ‘এলোন ইন ডার্কনেস অ্যান্ড আদার পোয়েমস’, ‘হোল্ডিং অ্যান আফটারনুন অ্যান্ড আ লিথ্যাল ফায়ার আর্ম’, ‘অবসিডিয়ান’।
১৯৭৪ সালে একটি কবিতার কারণে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ অভিযোগে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। পরে জার্মানির নোবেলজয়ী সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাস এবং তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হান্স ডিটরিশ গেনশের সহযোগিতায় জার্মানিতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে তিনি বার্লিনে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন।